সে অনেকদিন আগের কথা, ইবলিশের সাথে মোটামুটি ভালই সম্পর্ক ছিল আমার, যার কারণে সবাই আমাকে আদর করে দুষ্টু ও ডাকতো।
আচ্ছা যাই হোক।
জনৈক জ্যোতিষ আমার কপালের দিকে তাকিয়ে বলে দিলেন আমি নাকি সিংহ রাশি’র জাতক। এই সেই হাবিজাবি আরো অনেক কিছু। আমি তখন অন্য আরেকটা ধান্ধায় ব্যস্ত ছিলাম, বিধায় উনার কথা আমার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে নাই (যদিও আমি উনার কথাগুলো শুনেছিলাম)।
পরক্ষণে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারো আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা তুললে আমার মনোযোগ তার দিকে ফেরানোয় তিনি সফল হলেন এবং আমার অতীতবর্তমান আর ভবিষ্যত সব নিয়ে আলাপ শুরু করে দিলেন।
ঘটনা কিছুদুর যাক তার আগেই আমি উল্টো আরেকটি ঘঠনার জন্ম দেয়ার চেষ্টায় নেমে পড়লাম। যথারীতি তাকে এই সেই হাবিজাবি অনেক প্রশ্ন করা শুরু করে দিলাম। উনি আমার হাত দেখে ভবিষ্যৎ বলার জন্য আমার সাথে ২০০টাকার একটা শান্তি চুক্তি করলে যথানিয়মে আমার হাত দেখলেন, এবং অনেক কিছুই বললেন। তো আমি আরো ২০০ টাকার আরেকটা চুক্তি করলাম আরেকটা হাতের জন্য। উনি রাজি হলেন, এবং বললেন হাতটা দিতে, আমি উত্তরে বললাম তার নিজের হাতটাই দেখতে।
বেচারা মাইনকার চিপায় পইড়া গেল, আমিও নাছোড় বান্দা ছেড়ে দেয়ার লোক নই, তাই শেষমেষ বেচারা বাধ্য হয়েই নিজের হাতটা নিজে দেখল এবং অনেক কিছুই বলল। তার ভবিষ্যৎ গননা শেষ হলে জিজ্ঞেস করলাম আর কিছু আছে কি না! উত্তরে তিনি না বললে আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম আর কিছু আছে কি না! উনি আবারও না উত্তরটা দিলেন।
ব্যস আমি রাস্তা মাপা শুরু করলাম।
বেচারা পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলল! ও ভাই আমার টাকাটা দিয়ে যান।
আমি উত্তর দিলাম “আপনি আমার, আপনার উভয়ের ভবিষ্যৎ দেখলেন অথচ এইটা দেখতে পেলেন না! আমি যে আপনাকে ঠকিয়ে দৌড় দিব? আপনি কিসের জ্যোতিষ?”