জেগে ওঠো স্বপ্নবাজ

স্বপ্নবাজ!
তুমি থেমে আছো কেন? তোমার স্বপ্ন দেখতে তো কোন বাধা নেই, তাহলে থেমে আছো কেন? তুমি কি ভুলে গেছ পৃথিবী স্বপ্নবাজদের আবিস্কার? নাকি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে?
পৃথিবীর সব ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট ব্যবসায় ট্যাক্স থাকলেও তোমার স্বপ্ন ইম্পোর্ট এক্সপোর্টে কোন ট্যাক্স নেই সেটা কি তোমার জানা নেই? নাকি ভুলে গেছ? তোমার কিসের এত হতাশা? কিসের এত দুর্বলতা? কেন তুমি থেমে আছো? চল আজকের সন্ধ্যাটা আমরা একসাথে কাটাই।
এই রোমান্টিক সিজনে এক কাপ চা হজম না করলে নিজেকে কেন জানি গরীব গরীব মনে হয়, আবার পকেটে একটা টাকা ও নাই, চল কোন এক বড় লোক বন্ধুর বাসায় গিয়ে জোর করে চা হজম করে পরে না হয় আড্ডায় বসি।
তুমি কি প্রস্তুত?
তো চল আমরা গুরু জেমসের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে রওনা দেই,
মোরা শাসন মানিনা, বারণ-ও শুনিনা
করি তাল-বাহানা, করি নানা ছলনা
মোরা গলা ছেড়ে গান গাই
গোপনে প্রিয়ার কাছে প্রেমের পত্র পাঠাই
দুষ্ট ছেলের দল, ছন্নছাড়ার দল
দুষ্ট ছেলের দল, ছন্নছাড়ার দল
দে দে তালি, দে তালি।

আমরা দুষ্ট ছেলের দল, আমরা শাষন মানিনা, বারণ মানিনা তো এবার চল আমরা জন ডেনভারের সাথে living on jet plane টা শুনতে শুনতে আকাশে উড়ি, তারপর আর কেলির সাথে মন খুলে গাই i velieve i can fly, i velieve i can touch the sky, উফ আমাদের হই চই এ বিমানে থাকা মানুষ গুলো বিরক্ত হয়ে তারা মাতামাতি শুরু করে দিছে, আমরা এবার সেটাকে বাংলালিংকের বারো রকম মানুষের তেরো রকম চাওয়া বলে গায়ে না মেখে আমরা এ্যান্ড্রু কিশোর এর সাথে সুর তুলে তাদের তিরস্কার করে বলব “কত রঙ্গ জানোরে মানুষ, কত রঙ্গ জানো, তুমি এই হাসো এই কাদো বুঝিনা তার মর্ম” উফ মানুষ গুলো কি রোমান্টিক মুড টাই না অফ করে দিল, চল আবার মুডে ফিরা যাক এবার নেব “জীবনের গল্প, আছে বাকী অল্প, যা কিছু দেখার নাও দেখে নাও , যা কিছু বলার নাও বলে নাও পাবেনা সময় আর হয়তো” হ্যা সত্যিইতো আমাদের সময়টাতো খুব অল্প আমাদের যা কিছু বলার আছে, যা কিছু দেখার আছে এক্ষুনি দেখে নেয়া এবং বলে দেয়া দরকার। বলতে গিয়ে দেখতে গিয়ে আমরা পড়ে গেলাম পৃথিবীর মায়ায় এখানে শুরু হল আবার আমাদের কষ্ট, হাসী, কান্না, আনন্দ, বেদনা। ওকে সমস্যা নাই এবার গুরু জেমসের মত আমরা শপথ করব,
আমি আর আমার দু’চোখ কখনো জলে ভেজাবো না
এ ব্যথা আমারই থাক, চাই না কারও সান্ত্বনা
পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না
পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না
কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনোদিন পদ্মা-মেঘনা
দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে
হবে না তো এক নদী যমুনা,
কান্না থামিয়ে এবার হান্নাহ মোনতানার সাথে সুরে সুরে বলব nobody is perfect, আমি ও না তুমিও না আমরা কেউইনা, কেউ পারফেক্ট হতে পারিনা, থাকনা আমাদের ইম্পারফেকশন গুলো, তাতে কি হয়েছে? আবারো যদি এ্যান্ড্রু কিশোর কে সাথে নিয়ে তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে গাই, দুনিয়া দুই দিনের মেলা, এসেছি একেলা যাব একেলা, মধ্যে বড়ই মায়ার খেলা, এসেছি একেলা যাব একেলা।
যেহেতু আমাদের যেতেই হবে চলনা বুইড়া রবি’র কথাটা একবার মেনে নিয়ে শপথ করি, “পৃথিবীতে যখন এসেই গেছি, অন্তত পায়ের ছাপ টা রেখে যাই” হ্যা এবার গুরু জেমসের সাথে পৃথিবীর হতাশ মানুষগুলোকে খুজে খুজে তাদের বলি,
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে বন্ধু আমার?
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে পথ ভোলা?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ জ্বালা।

ওরে কে আছে মুক্ত জীবন নিয়ে ছন্নছাড়া-
আপনাকে ভালোবেসে আপনদেশে ঠিকানাহারা?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।

যদি বুঝতে না চাও এই বুকের ভেতর কতো যন্ত্রণা
যদি দেখতে না চাও এই ছলনার ভীড়ে হারানো প্রেম
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।
সারা রাত গান শেষে সকালে যাওয়ার প্রাণ খুলে গাইব, “চল সবাই, জীবনের আহবানে সামনে এগিয়ে যাই। বলে সামনে সামনে আগাইতে আগাইতে আমরা প্রাণ খুলে গাইব, “স্বপ্ন যাবে বাড়ী আমার” স্বপ্নকে বাড়ীতে নিয়ে এসে সব হতাশা ভুলে এবার আমরা হাবীব ওয়াহিদকে সাথে নিয়ে গাইব
মন ঘুমায় রে, মন ঘুমায় রে…
রঙিলা পাল তুইলা মন ঘুমায় রে…
অনেক তো আড্ডা হল, এবার উঠা যাক।

জাগ্রত স্বপ্ন

আমি প্রায়ই স্বপ্ন দেখি, বেঁচে থাকি কিংবা না থাকি, স্বপ্ন পূরণ হোক কিংবা না হোক, তারপরে ও স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখতে তো আর ভ্যাট ট্যাক্স লাগেনা তাই সম্ভবত। :p  ঘুমের আগের ঘোর লাগা সময়টা স্বপ্ন দেখার জন্য পারফেক্ট একটা টাইমিং, তখন অদ্ভুদ সব স্বপ্ন দেখা যায় আবার চাইলে সেগুলো লিখেও রাখা যায়। স্বপ্ন দেখার জন্য আমার মনে হয় বেষ্ট টাইম এটাই।

 

ইতালির সিসিলিতে একবার যাব, মরার পরেও বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে একবার দেখে আসব, খানিক্ষন তাদের দেখে দেখে হিংসে করব তারপর চলে আসব। জগতে হিংসে করার অনেক কিছুই আছে, কিন্তু এই মানুষগুলো সত্যিই হিংসে করার মত, যারা মরার পরেও যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে। আমি ছোট্র সেই ঘুম কুমারি রোজালিয়া’কে একবার দেখে আসব, যে কিনা মরার পরেও অনেকদিন ধরে ভালবাসার প্রতিক হয়ে বেঁচে আছে।

 

একদিন প্যারিসে যাব, প্রিয় মানুষগুলির সাথে কয়েকটা সন্ধ্যা কাটিয়েই চলে আসব, নীল সাদার কোলাহলে আমি হারিয়ে যেতে চাই জাগতিক সব কোলাহলের বাইরে।

 

একদিন যাব রোমান কলোসিয়ামে, রক্তপিপাসু সম্রাটদের আনন্দের খোরাকের বলি হওয়া হাজারো মানুষ আর জীবজন্তুর রক্তের স্মৃতিঘেরা ছাদ বিহীন রক্তের বন্যায় সিক্ত সেই মঞ্চটা একবার দেখে আসব।

 

একদিন যাব আকাবাকা নদীর উপর ভাসতে থাকা স্বপ্নের নগরী ভেনিসে, পিয়াজ্জা সান মার্কোর সেই ভৌজ পেলেস এ কিছুটা মুহুর্ত কাটিয়ে সন্ধ্যার সেই সুর্য ডোভার স্বাক্ষী হয়ে রিয়ালটো ব্রিজ পাড়ি দিয়ে ক্যাফে ফ্লোরেইনে প্রিয় মানুষের সাথে এক কাপ কফি ভাগাভাগীতে খেতে চাই।

 

আমি যাব সেই সুন্দরী জুরিখে, আমষ্টারডাম, বার্লিন কিংবা ষ্টকহোমে। এ্যারিজোনার গ্রান্ড ক্যানিয়নে উড়ন্ত প্লেন থেকে ড্রাইভ দিয়ে নীচে পড়তে পড়তে প্যারাসুট খোলার আগে একটিবার আওয়াজ ছেড়ে ভাঙা গলায় নিজের মত করে মন খুলে গাইতে চাই “I BELIEVE I CAN FLY…  I BELIEVE I CAN TOUCH THE SKY

 

দারুচিনি দ্বীপের সেই স্বপ্নের সেন্ট মার্টিন একবার ঘুরে আসতে চাই, নীল পানিতে হঠাৎই জুকে পড়া উল্টানো বাটির মত আকাশটাকে খুব কাছ থেকে দেখে আসতে চাই। একটা ডুবে হারিয়ে যেতে চাই বঙ্গোপসাগরের অতল থেকে অতলান্তে।

 

আমি যেতে চাই মুসলিমদের সেই অন্তস্থল জেরোজালেমে অবস্থিতে আল আক্বসা মসজিদে, সেখানকার বারান্দায় বসে মন খুলে উচ্ছারণ করতে চাই মধুর সেই আওয়াজ ধ্বনী,  ওয়ান্নাজমী ইযা হাওয়া, মা দ্বাল্লা ছাহিবুকুম ওমা গাওয়া, ওয়ামা ইয়ানতিক্বু আ’নিল হাওয়া ………………………………

 

ঘুরে আসতে চাই দার্জিলিং, কাঞ্চনজঙ্গা, কাশমীর, তিব্বত, হিমালয়, লাদাখের ফুং সুখ ওয়াংড়ুর অদ্ভুদ সেই বিশ্ববিদ্যালয়টাও দেখে আসতে চাই।

 

একদিন যাবো তাজমহল। কোন এক জোৎস্নারাতে খুব একা হয়ে আমি বসে বসে তাজমহল দেখবো। দেখবো ভালোবাসার গায়ে চাঁদের ভালোবাসার আঁচড়।

 

মীরপুরের মাঠে বাংলাদেশ আর ভারতের খেলায় মাশরাফির হাতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কারটা দেখতে চাই। গ্যালারীতে বসে মন খুলে কাছ থেকে একবার হাজারটা বাধাকে অজুহাত দেখিয়ে প্যাশনকে প্রাধান্য দেয়া চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া  লড়াকু সেই সৈনিক কে কাছ থেকে দেখতে চাই।

 

আমি মারা যাবার আগে নিজের মতো করে একদিন বেঁচে যেতে চাই। এরপর যদি কখনো কেউ জিজ্ঞেস করে, “hello gentleman are you ready to die??”

আমি বলতে পারবো, “Yes i am ready…. Let’s Do It…. Let’s Finish the game…………….”

 

মাষ্টারকোডার দ্যা রোবট

:- এপ্রিল তুমি মাষ্টার কোডারের প্রেমে পড়তে পারোনা।
:- কেন নয় সুহান? আমরা ভালো বন্ধু এছাড়া আমাদের মধ্যে গুড আন্ডার্ষ্ট্যান্ডিং ও আছে, কেন নয়?
:- দেখ এপ্রিল, মানুষের সাথে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয়, জীবজন্তুর সাথে জীবজন্তুর সাথে জীবজন্তুর। জীবজন্তুকে আমরা ভালবাসলেও আমরা তার প্রেমে পড়তে পারিনা।
:- ব্যস সোহান, এনাফ হয়েছে। আর না। কতটা নীচু হলে মানুষ এমনটা করতে পারে সেটা আমার জানা ছিলনা। তোমাকে আমার বন্ধু ভাবতেও নিজের প্রতি নিজের ঘৃনা হয়।
:- কেন এপ্রিল? আমি আবার কি করলাম? যা সত্যি তাই তো বললাম! এখানে সমস্যা কোথায়?
:- ছিঃ সোহান! তোমার লজ্জা হওয়া উচিত ছিল? তুমি মাষ্টারকোডারকে জীবজন্তুর সাথে তুলনা করেও আবার বলছ, তুমি কি করেছ?
:- দেখ এপ্রিল, মাষ্টারকোডার কোন মানুষ নয়, কিংবা কোন জীবজন্তু ও নয়। তাকে আমি কি বলতে পারি? তাছাড়া তুমি মানুষ তুমি মানুষের সাথে প্রেম করবে, তা না করে আবার আমাকেই দোষারুপ করছো?
:- সোহান! এনাফ হয়েছে এখন এখান থেকে যাবা প্লিজ? তোমার মাথা গেছে দেখতে পাচ্ছি, তুমি আস্ত একটা পাগল হয়ে গেছো। প্লিজ লীভ মি এলোন। আর হ্যা! আর কোনদিনও আমার সাথে যোগাযোগ রাখবা না, কিংবা আমার সামনে আসবানা।
সোহান মাথা নীচু করে সোজা বেরিয়ে আসল। মনে মনে ভাবতে লাগলো! এপ্রিল সামান্য একটা রোবটের জন্য আমার সাথে এমন করতে পারল? এপ্রিলের সাথে এতদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক নিমিষেই এপ্রিল ভেঙে দিল? একটা বারও এপ্রিল কথাটা ভাবতে গেলোনা?
সোহান বাড়ীতে এসে মন খারাপ করে বসে আছে। এমন সময় মাষ্টার কোডারের আগমন।
:- সোহান! তুমি কাদছো কেন?
:- মাষ্টারকোডার এটা কান্না নয়, এটা হৃদয়ভাঙার করুন আর্তনাদের সুর, হাজারো স্মৃতির হাতছানির গ্লানি, সহস্র দিনের জমিয়ে রাখা কষ্টের হাহাকারের সুর। ও হ্যা তোমাকেই বলে কি লাভ? তোমার মধ্যে তো আমি কোন প্রকার আবেগ ইনষ্টল দেইনি। ওসব তুমি বুঝবেনা।
:- সোহান! গত সপ্তাহে তুমি বিজি ছিলে তাই আমার স্ক্রিপ্ট আপগ্রেড করতে ভুলে গেছিলে আর আমার আপগ্রেডটার দরকার ছিল তাই নিজ থেকেই নিয়ে নিয়েছি। আমার বর্তমান লাইব্রেরীতে আবেগ ইনষ্টল দেয়া আছে। আমি ওসব বুঝি, এবং হ্যা আমি আবেগটাকেও বুঝি। তাছাড়া আগে আমাদের হিসেব হতো মিলি সেকেন্ডে বর্তমান লাইব্রেরীতে আমরা ন্যানো সেকেন্ডে কাজ করি। তোমার বর্তমান অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। এখন একটু ঘুমাও। এপ্রিলেরটা আমি বুঝব।

আমার চাওয়া

1f110bc48a4a175fada7a0329d407fa2-12

যেথায় যত সমস্যা আছে সবক’টার সমাধান আমার চাই,
লুকিয়ে থাকা মায়া কান্নার সব রহস্য আমার চাই,
হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কের হারানোর রহস্য আমার চাই,
মাঝরাতে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্থায় ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরের ভবঘুরে হওয়ার রহস্য আমার চাই,
সতী নারীর অসতী হওয়ার পিছনের গল্প আমার চাই,
নিষ্পাপ বালকের পাপিষ্ঠ হওয়ার কারণ আমার চাই,
নিঝুম রাতে বালিশ ভেজানো বালকের হতাশার কারণ আমার চাই,
আকাশের দিকে থাকিয়ে চাঁদকে দোষারোপ করা বালকের দোষারোপ করার কারণ আমার চাই,
স্বাপ্নিল বালকের হাজারটা হতাশার নোট করে ছিড়ে ফেলা কিংবা ক্লাউডের চিপায় চাপায় ট্র্যাসে পড়ে থাকা সবক’টা নোট আমার চাই,
না বলা হাজারটা চাপাকষ্টের গল্প আমার শোনা চাই,
মিথ্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সত্য আমার চাই,
হাজারবার না বলার পরেও একবার হলেও আমার তরে হ্যা বলা আমার চাই,
একটা সফল মিশনের পিছনের হাজারটা ব্যর্থতার গল্প আমার চাই,
ছাইয়ের নীচে পড়ে থাকা মানিক আমার চাই,
সুপুরুষের কাপুরুষ হওয়ার পিছনের গল্প আমার চাই,
নীতির কর্নদ্বারের দুর্নীতির কারন আমার চাই,
অমানিশায় লুকিয়ে সব রহস্যই আমার চাই ই চাই।