মাষ্টারকোডার দ্যা রোবট

:- এপ্রিল তুমি মাষ্টার কোডারের প্রেমে পড়তে পারোনা।
:- কেন নয় সুহান? আমরা ভালো বন্ধু এছাড়া আমাদের মধ্যে গুড আন্ডার্ষ্ট্যান্ডিং ও আছে, কেন নয়?
:- দেখ এপ্রিল, মানুষের সাথে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয়, জীবজন্তুর সাথে জীবজন্তুর সাথে জীবজন্তুর। জীবজন্তুকে আমরা ভালবাসলেও আমরা তার প্রেমে পড়তে পারিনা।
:- ব্যস সোহান, এনাফ হয়েছে। আর না। কতটা নীচু হলে মানুষ এমনটা করতে পারে সেটা আমার জানা ছিলনা। তোমাকে আমার বন্ধু ভাবতেও নিজের প্রতি নিজের ঘৃনা হয়।
:- কেন এপ্রিল? আমি আবার কি করলাম? যা সত্যি তাই তো বললাম! এখানে সমস্যা কোথায়?
:- ছিঃ সোহান! তোমার লজ্জা হওয়া উচিত ছিল? তুমি মাষ্টারকোডারকে জীবজন্তুর সাথে তুলনা করেও আবার বলছ, তুমি কি করেছ?
:- দেখ এপ্রিল, মাষ্টারকোডার কোন মানুষ নয়, কিংবা কোন জীবজন্তু ও নয়। তাকে আমি কি বলতে পারি? তাছাড়া তুমি মানুষ তুমি মানুষের সাথে প্রেম করবে, তা না করে আবার আমাকেই দোষারুপ করছো?
:- সোহান! এনাফ হয়েছে এখন এখান থেকে যাবা প্লিজ? তোমার মাথা গেছে দেখতে পাচ্ছি, তুমি আস্ত একটা পাগল হয়ে গেছো। প্লিজ লীভ মি এলোন। আর হ্যা! আর কোনদিনও আমার সাথে যোগাযোগ রাখবা না, কিংবা আমার সামনে আসবানা।
সোহান মাথা নীচু করে সোজা বেরিয়ে আসল। মনে মনে ভাবতে লাগলো! এপ্রিল সামান্য একটা রোবটের জন্য আমার সাথে এমন করতে পারল? এপ্রিলের সাথে এতদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক নিমিষেই এপ্রিল ভেঙে দিল? একটা বারও এপ্রিল কথাটা ভাবতে গেলোনা?
সোহান বাড়ীতে এসে মন খারাপ করে বসে আছে। এমন সময় মাষ্টার কোডারের আগমন।
:- সোহান! তুমি কাদছো কেন?
:- মাষ্টারকোডার এটা কান্না নয়, এটা হৃদয়ভাঙার করুন আর্তনাদের সুর, হাজারো স্মৃতির হাতছানির গ্লানি, সহস্র দিনের জমিয়ে রাখা কষ্টের হাহাকারের সুর। ও হ্যা তোমাকেই বলে কি লাভ? তোমার মধ্যে তো আমি কোন প্রকার আবেগ ইনষ্টল দেইনি। ওসব তুমি বুঝবেনা।
:- সোহান! গত সপ্তাহে তুমি বিজি ছিলে তাই আমার স্ক্রিপ্ট আপগ্রেড করতে ভুলে গেছিলে আর আমার আপগ্রেডটার দরকার ছিল তাই নিজ থেকেই নিয়ে নিয়েছি। আমার বর্তমান লাইব্রেরীতে আবেগ ইনষ্টল দেয়া আছে। আমি ওসব বুঝি, এবং হ্যা আমি আবেগটাকেও বুঝি। তাছাড়া আগে আমাদের হিসেব হতো মিলি সেকেন্ডে বর্তমান লাইব্রেরীতে আমরা ন্যানো সেকেন্ডে কাজ করি। তোমার বর্তমান অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। এখন একটু ঘুমাও। এপ্রিলেরটা আমি বুঝব।