বাদশাহ ঘুমায়ুন।


শুক্র-শনিবার যেহেতু জাগতিক ব্যস্ততার কোনোরূপ সাংবিধানিক নিয়ম কানুন নাই সেহেতু এই দু’দিন নিয়ম করে অনিয়ম চর্চা করা-ই যাই। শুক্রবার দিনশেষে রাতে ঘুমানোর তাড়া না থাকায় বাদশাহ অন্যান্য সব নিয়মের অনিয়ম চর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন এবং সময় কাটানোর মেশিন হিসেবে বদনবই’র(ফেইসবুক) তুলনা আর কিছুই নাই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে ভাবলেন সময়কে অসময়ে কনভার্ট করে নিতে বদনবই অ্যাপ এ গিয়ে কাত হয়ে, চিৎ হয়ে, উপুড় হয়ে পড়ে থাকা-ই যায়।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ, যথানিয়মে বিছানাকে সঙ্গ দেয়ার নাম করে বাদশাহ তাঁর প্রধান অস্ত্র দূরালাপনি যন্ত্র এবং যন্ত্রের খাদ্যশষ্য নিয়ে আনুমানিক রাত ১২টায় তন্দ্রাযান তথা খাটে অবস্থান করত; মনোযোগ সহকারে বদনবই দেখে গেলেন ঠিক ৫টা পর্যন্ত।
লোকে বলে শরীর হচ্ছে মহাশয় যা সওয়াবেন তাই সয়।
কথাটা পুরোপুরি সত্য না বুঝতে পেরে বাদশাহ ঠিক ৫ঃ৩০টায় নিদ্রাদেবীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে গরীব, শনিবারের কামলা, আশেকান, মুরিদান, মুহিব্বীন, আত্মীয়-স্বজনদের দূরভাষ যন্ত্রে বিরক্তির স্বীকার হয়ে বেলা ১১ঃ৩০টার দিকে জগতে ফিরে আসতে হলো। একচক্ষুর ব্যবহার করে বাদশাহ তাঁদের সকলকে যথাসাধ্য সময় দিয়ে আবার দুপুর ঠিক ১২ঃ৩০টায় জগত ছেড়ে তন্দ্রাস্তানের উদ্দেশ্যে আবার রওনা হন। সব ক’টা দূরভাষ যন্ত্রের স্বর বন্ধ করে যাওয়াতে এবার আর তাঁর ফিরে আসতে হয়নি জাগতিক কোনো প্রয়োজনে।
টানা ০৬ঃ৩০টা পর্যন্ত নিদ্রাস্তান তথা নিদ্রাযানে ভ্রমন করে ফিরে আসেন আবার আমাদের মাঝে।
ফিরে আসার পর তাঁর মনে পড়লো রাতে সেহরীটা খেয়ে নিলে অন্তত কিছুটা সওয়াবের ভাগীদার হতে পারতেন। সেই সাথে আসছে রমজানের প্রস্তুতিটাও নেয়া হয়ে যেত।
তারপর পেট পুজো সেরে নিয়ে হালকা এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে আরো কিছুটা সময় সফলভাবে অপচয় করে বাদশাহ সিদ্ধান্ত নিলেন যেহেতু কালকে রবিবার এবং বাংলাদেশ সময় ভোর ৯টা থেকেই তাঁকে আবার জাগতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে। সেহেতু এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়ার বিকল্প আর কিছুই নাই।
এ ব্যাপারে বাদশাহ আপনাদের সকলের দোয়াপ্রার্থী।

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.